মাহফুজুর রহমান মনজু
সাবেক প্রশাসক, জেলা পরিষদ, চুয়াডাঙ্গা।
অরি কে দমন করে যে সে অরিন্দম। বাঙ্গালী সংস্কৃতিতে যখন বিদেশী সংস্কৃতি আর দেশীয় মৌলবাদী সংস্কৃতির আগ্রাসন চলছিল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ঠিক সেই সময়ে এখন থেকে সাতাশ বছর আগে বাঙ্গালী সংস্কৃতির লালন, বিকাশ এবং পৃষ্ঠপোষকতার ব্রত নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল অরিন্দম। বাঙ্গালী সংস্কৃতির লালন এবং বিকাশের জন্য চুয়াডাঙ্গা’র আর যেসব সাংস্কৃতিক সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে অরিন্দম তাদের পুরোধা এবং অন্যতম। সাতাশ বছর ধরে একটি মফস্বল জেলা শহরে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের টিকে থাকা কঠিন হলেও অরিন্দম টিকে রয়েছে। তার গণভিত্তি তৈরিতে অরিন্দম-এর কর্মীদের নিরলস সংগ্রাম লক্ষ্য করার মতো। গণমানুষের সংস্কৃতি, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ আর বাঙ্গালী সংস্কৃতি চর্চাই অরিন্দম গণমানুষের এবং রাজনীতি সচেতন বোদ্ধা মানুষদের শ্রদ্ধা ভালোবাসায় বলিয়ান হয়ে উঠেছে। তাদের এই পথচলা মসৃণ এবং কুসুমাস্তীর্ণ নয় কন্টকাকীর্ণ। সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে অরিন্দমের নিরন্তর পথচলা আরো গতিময় হোক এই কামনা করি।
আমি রাজনৈতিক মানুষ। আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি-সাহিত্য ও সংস্কৃতি একই সূত্রে গাঁথা। যে জাতির সাহিত্য সংস্কৃতি যতো উন্নত, সে জাতি ততো সমৃদ্ধ। অরিন্দম-এর সাংস্কৃতিক কর্মকা- আমাদের জেলাকে এবং জাতীয় সংস্কৃতিতে অবদান রাখবে এটাই আশা করি। অরিন্দমের ২৮ বছর পূর্তিতে আমি গর্বিত। বাঙালী জাতীয়তাবোধ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে অরিন্দম ভবিষ্যতেও নানামাত্রিক ভূমিকা পালন করে যাবে। তাদের সাফল্য কামনা করি।
মাহফুজুর রহমান মনজু
সাবেক প্রশাসক, জেলা পরিষদ
চুয়াডাঙ্গা।