বাংলা নাটকে বিপ্লবী চেতনা
বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের শিরমণি মহামতি লেলিন বলেছেন, যে দাস নিজের দাসত্ব সম্পর্কে অবহিত নয় এবং বোবা বশ্যতায় যে আবদ্ধ সে দাস। যে দাস সন্ধি করেছে তার অবস্থানের সঙ্গে এবং উপভোগ করছে নিজের দাসত্বকে সে হচ্ছে চাটুকার ও পরগাছা। কিন্তু যে দাস নিজের অবস্থানকে জানে এবং মেনে নেয় না, উঠে দাঁড়ায়, সেই হচ্ছে বিপ্লবী। এডমন্ডবার্ক বলেছেন, অনেক সময় মুক্ত মানুষকে দাসে পরিণত করতে যত না কষ্ট তার চেয়ে বেশী কষ্ট হয় দাসকে মুক্ত করতে। সমাজ ও সভ্যতা বিকাশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। আর এর সত্যতা প্রমাণের জন্য বেশী দূর যাওয়া লাগবে না। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দিলেই সন্দিগ্ধ চিত্র পাওয়া যাবে। একাত্তরে মৌলবাদীরা খুব সচেতনভাবেই চাটুকারী করেছে। এইসব চাটুকারীতার বা দাসত্বের বিপরীতটাও আছে এবং এই বিপরীতটাই আসল, চাটুকারীতা নকল। বিপরীতটা হচ্ছে লেলিনের তৃতীয় পথ- যারা নিজের উপর চাপিয়ে দেয়া দাসত্বকে মেনে নেয় না। মেরুদণ্ড শক্ত করে দাঁড়াতে চায়, দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দী সমাজ ব্যবস্থাকে ভাঙ্গতে চায় তারা বিপ্লবী। বাঙ্গালীর মুক্তি সংগ্রামে বাংলার দামাল ছেলেরা দোহ করেছে। ভিয়েতনামের স্বাধীনতা যুদ্ধ, রুশ বিপ্লব, চীনের বিপ্লব যুগে যুগে কালে কালে বিপ্লবীদের প্রেরণা যুগিয়ে চলেছে। আর এসব বিপ্লবীদের নেপথ্যে প্রেরণা দিয়েছে পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছে কবি, গল্পকার, উপন্যাসিক, নাট্যকাররা তাদের ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে। তাই সন্দেহাতীতভাবেই বলা যায়, সমাজের সকল অসঙ্গতি, অন্যায়, অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সচিত্র প্রতিবেদন হচ্ছে সাহিত্য।
গল্প, কবিতা, সঙ্গীত, উপন্যাস, প্রবন্ধ নাটক এরূপ সাহিত্যের প্রত্যেকটি শাখায় মানবতার জয়গান গেয়ে চলেছে। তদুপরি নাটক হচ্ছে মানবতার দুঃখ-বেদনা, হাহাকারের মর্মরিত-মুখরিত ছায়াচিত্র। তবে একটি প্রণিধানযোগ্য যে, সাহিত্য বা নাটক সৃষ্টির মূলে কাজ করে সময়ের সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট। সমাজ বাস্তবতায় প্রেম-ভালবাসা আছে বৈকি। তাইতো সাহিত্যে বিপ্লবী ধারা যেমন আছে, তেমনি নিটোল প্রেমের স্বচ্ছ জলধারাও আছে। মঞ্চ নাটকে সামাজিক বন্ধন বিনির্মাণে প্রেম ভালবাসা আছে কিন্তু প্রেমের ঘ্যানঘ্যানানি নেই। মঞ্চ নাটকের ইতিহাস-ঐতিহ্য, বিষয়-আঙ্গিক আলোচনা-পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বিপ্লবী চেতনায় দেদ্বীপ্যমান। আর এ বিপ্লবী ধারার শক্তিশালী ধারার দৃপ্ত পদচারণা শুরু হয়েছে মূলত রুশ বিপ্লবের অব্যবহিত পর। বাংলা নাটকের কথা বরতে গেলে বলতেই নাটকের একটা বিরাট অংশ জুড়ে আছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা তথা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সেই সাথে শক্তিশালী বিপ্লবী ধারা। তবে বাংলা নাটকে বিপ্লবী ধারা রুশ বিপ্লবের পূর্বেও বিদ্যমান ছিল। সেখানেও লেলিনের অদৃশ্য ছায়া ছিল। লেলিনের তৃতীয় সূত্র “যে দাস তাঁর দাসত্বকে মেনে নেয় না, বিদ্রোহ করে” কাজ করেছিল এবং এ সূত্রকে বাস্তবিক করে তুলেছিল ধুর্ত বৃটিশ সাম্রাজ্যের উপনিবেশিক শাসন-ত্রাসন। বাংলা নাট্য সাহিত্যে শোষিত-বঞ্চিত মানুষের প্রথম বিদ্রোহ দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’। ব্যক্তির বেদনার চৌকাঠ পেরিয়ে জাতির সামগ্রিক যন্ত্রণার পূর্ণ অবয়ব ফুটে উঠেছে এ নাটকে। মীর মশাররফ হোসেন তাঁর ‘জমিদার দর্পণ’ নাটকে শুধু নীল চাষীদের দুঃখ দুর্দশা নয় জমিদারদের অত্যাচারের একটি সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থার প্রতি আকৃষ্ট হন। যার প্রভাব রবীন্দ্র নাট্যেও প্রতিফলিত হয়। তাঁর ‘রথের রশি’ নাটকে স্থির দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন।
ইংরেজদের কূট কৌশরে কারণে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে হিন্দুস্তান-পাকিস্তান নামের দু’টি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র জন্ম হয়। সেই সাথে ভাগ হয়ে যায় বাংলাও। পূর্ব বাংলা নিক্ষিপ্ত হয় জল্লাদ পাকিস্তানিদের অন্ধকূপে। তবে মুসলিম লীগ ও পশ্চিম পাকিস্তানিদের চিনতে বাঙ্গালীদের বেশি সময় লাগেনি। মহান ভাষা আন্দোলন বাঙ্গালীদের নিজস্ব ঠিকানায় পৌঁছে দেয়। ৫২’র ভাষা আন্দোলন বাঙ্গালীর মন ও মগজে নতুন করে বিপ্লবী চেতনা রোপন করে। মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটকে তাঁর প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে। আসকার ইবনে শাইখ এর ‘বিদ্রোহী পদ্মা’ নাটকে পদ্মাপাড়ের প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিবাদী চেতনাকে তুলে ধরেছেন। ‘আবার যাত্রী’ নাটকে শ্রমিক আন্দোলনকে উৎসাহী করেছেন। শওকত ওসমান তাঁর ‘বাগদাদের কবি’ নাটকে রূপক নামের আড়ালে তৎকালীন পাকিস্তানী স্বৈরশাসকদের অত্যাচার নিপীড়ণ তুলে ধরেছেন সেই শ্রেণী চেতনায়ও উচ্চকিত হয়েছেন। এ নাটকের শেষ দৃশ্যে ইসাহাক হাসানের সংলাপে শ্রেণিহিীন সমাজ প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় পরিলক্ষিত হয়। সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর ‘বহিপীর’ নাটকে ধর্মের নামে ভণ্ডামী পীরের লাম্পট্য তুলে ধরেছেন তেমনি অভাবগ্রস্ত তাহেরার প্রতিবাদী চরিত্রকেও মূর্ত করেছেন।
পশ্চিম বাংলার দিগিন্দ্রচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় স্বাধীনতা উত্তর পশ্চিম বঙ্গে সামাজিক অসন্তোষের প্রেক্ষাপটে নাটক লেখেন ‘মোকাবেলা’। নাটকটি পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় শোষিত মানুষের জীবন সংগ্রামের চিত্রকল্প। পশ্চিম বাংলায় বিপ্লবী ধারার বা শ্রেণি চেতনায় ঋদ্ধ মঞ্চ নাটকের পথিকৃৎ বিজন ভট্টাচার্য, উৎপল দত্ত, বাদল সরকার। বিজন ভট্টাচার্যের সবচেয়ে মঞ্চ সফল নাটক ‘দেবী গর্জন’। জোতদার-মহাজনদের শোষণের বিরুদ্ধে দরিদ্র কৃষক তথা শোষিত মানুষের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠার গল্পগাঁথা। ষাটের দশকে পশ্চিম বাংলার বিপ্লবী ধারার নাট্য রচনায় শীর্ষস্থানীয় নাট্যকার উৎপল দত্ত। প্রকৃতপক্ষে উৎপল দত্ত নাটকের মাধ্যমে মার্কসীয় বিপ্লববাদ তথা শোষিত মানুষের শ্রেণি চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন। তাঁর রচিত ‘ফেরারী ফৌজ’, ‘অজেয় ভিয়েতনাম’, ‘দিন বদলের পালা’। তবে উৎপল দত্তের সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত নাটক ‘তীর’। ১৯৬৭ সালে নকশাল বাড়ীর কৃষক বিদ্রোহের পটভূমিকায় রচিত তীর নাটকটি যেমন আলোচিত-আলোড়ি, তেমনই বিতর্কিতও। কারণ চারু মজুমদারের নকশাল বাড়ীর সশস্ত্র বিপ্লবকে শুধু কংগ্রেসের মত বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলই প্রত্যাখান করেনিম, সিপিআই-সিপিএমও প্রত্যাখান করেছিল। যে উৎপল দত্ত নিজেই বলেছিলেন- একদিকে নকশাল বাড়ী অন্যদিকে বেশ্যেবাড়ী। সেই উৎপল দত্তই আবার নিজে বলেছেন- তীর নাটকটি ছিল একটি শোচনীয় ভ্রান্তি। তবে তিনি নকশাল বাড়ীর কৃষকদের সংগ্রামকে খাটো করে দেখেননি। তাই তাঁর অন্য একটি লেখায় উল্লেখ করেছেন- নকশাল বাড়ীর কৃষক বিদ্রোহ শ্রেণি সংগ্রামের একটি মুহূর্ত, ইতিহাসের আলোকিত প্রহর, শ্রেণি সংগ্রামের এক উলঙ্গ বিস্ফোরণ।
বাংলায় বিপ্লবী নাটকের চরম বিকাশকাল বলা যায় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব মুহূর্ত, যুদ্ধকালীন সময় এবং তদপরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে খোলা ট্রাকে মঞ্চস্থ করে ‘শপথ নিলাম’। বেতার-টেলিভিশন শিল্পী সমাজ ১৬ মার্চ শহীদ মিনারে মঞ্চস্থ করে ‘ভোরের স্বপ্ন’। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বিপ্লবী নাট্য আন্দোলনের ধারা অব্যাহত থাকে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধকে প্রত্যক্ষ করে কল্যাণ মিত্রের ‘জল্লাদের দরবার’ একটি জাতি একটি ইতিহাস, মামুনুর রশীদের মুক্তির ডাইরী ‘মৃত্যুহীন প্রাণ’ নাটক স্বাধীন বাংলা বেতর কেন্দ্র থেকে সম্প্রচার হত। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধকালীন স্মরণযোগ্য নাটক মমতাজ উদ্দিন আহমদের ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, ‘বর্ণচোরা’, মামুনুর রশীদের ‘বর্ণচোরা’, নিলীমা ইব্রাহিমের ‘যে অরণ্যে আলো নেই’, রনেশ দাস গুপ্তের ‘ফেরি আসছে’। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরেও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বহু বিপ্লবী ধারার নাটক রচিত হয়েছে। তন্মধ্যে সৈয়দ শামসুল হকের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় সবচেয়ে আলোড়িত নাটক। ৭৫’ এর পট পরিবর্তনের পর সামরিক জান্তার স্বৈরাচারেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত করে ধর্মভিত্তিক পাকিস্তানী রাষ্ট্র চেতনার পথে ধাবিত হলে বিপ্লবী ধারার নাট্য রচনা বাড়ে বৈ কমে না। মমতাজ উদ্দিনের ‘কী চাহ শঙ্খচীল’ এ সময়ের অন্যতম মঞ্চল সফল নাটক। এ সময়ে মামুনুর রশীদের ‘এখানে নোঙর’, আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘মেহেরজান আরেকবার’ শ্রেণি চেতনতার দু’টি জনপ্রিয় নাটক। গাঙের অববাহিকায় জেগে ওঠা নতুন চরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ‘এখানে নোঙর’ নাটকের অবয়ব। চরে নতুন করে বসবাস করতে আসা বিত্তহীন সহায় সম্বলহীন কৃষক সমাজের সংগ্রামী জীবন নিয়ে গড়ে উঠেছে এ নাটকের আখ্যানভাগ। মামুনুর রশীদের অন্যান্য নাটকের মত এ নাটকেও অত্যাচারিত ও শোষিত বঞ্চিত মানুষেরা ক্রমেই হয়ে উঠেছে অধিকার সচেতন, শ্রেণি সচেতন। শেষমেষ অত্যাচারী শোষকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে শোষিত মানুষ। আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘মেহেরজান আরেকবার’। মেহেরজান বিবি একই সঙ্গে বঞ্চিত ও প্রতিবাদী নারীর প্রতীক। সেই সাথে বাঙ্গালীর চিরায়িত অসাম্প্রদায়িক চেতনারও প্রতীক বটে। এছাড়া এ নাট্যকারের ‘এখনও ক্রীতদাস’ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত একটি বিপ্লবী চেতনার নাটক। আধুনিক যুগে মান্নান হীরার ‘লাল জমিন’ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি ভিন্ন স্বাদের বিপ্লবী নাটক। মামুনুর রশীদের ‘রাঢ়াং’ আধুনিক বাংলা নাট্যকাব্যে শ্রেণি চেতনার এক শানিত ট্রাজেডি। এ নাটকে দেখানো হয়েছে সুবিধাবাদী জোতদার শাসকেরা হিন্দু-মুসলমান-খিস্টান যে ধর্মের লোকই হোক না কেন সবার চরিত্র একই। হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান সব ধর্মের ধনিক শ্রেণির লোকেরা গরীব অসহায় আদিবাসীদের সহায় সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদেরকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে। অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রযোজিত মোঃ আলাউদ্দিন রচিত ‘নীল সিন্দুরিয়া’ নাটকটি বাঙ্গালীদের বিপ্লবী চেতনার আরেকটি দলিল। এ যেন লোকচক্ষুর আড়ালে অন্ধকার কূপের মধ্যে পড়ে থাকা এক টুকরো হীরক খণ্ড। চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ ও তদপার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নীলচাষের বিরুদ্ধে কৃষকদের বিদ্রোহ বন্দনা অন্ধকার থেকে আলোয় তুলে আনেন ইউসুফ হোসেন। তাঁর প্রবন্ধের ঘটনার ঘনঘটাগুলো নাট্যরূপ দিয়ে সভ্য মানুষের দরবারে হাজির করেন মোঃ আলাউদ্দিন।
মানুষের মুক্তির সংগ্রাম কখনও শেষ হয় না। সমাজে পুঁজি আছে, লুটেরা পুঁজিপতিও আছে। লুটেরা পুঁজিবাদ শোষণ করতে আর বঞ্চিত শোষিত মানুষেরা। শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চাই। শোষক আর শোষিতের এই চিরপ্রবাহমান দ্বন্দ্ব বিবেকবান আদর্শবান সাহিত্যিক তথা নাট্যকারদের নিরন্তর প্রেরণা যোগায়, সাহসী করে তোলে। তাই সমাজ ও ইতিহাসের বাস্তবতার নিরিখে প্রত্যহ তৈরী হয় নাটকের বিপ্লবী সত্ত্বা। মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ ও তাদের লালনকর্তা সাম্রাজ্যবাদের বিষ নখর ভাঙতে আগামীতেও রচিত হবে চৈতন্য প্রখর প্রতিবাদী নাটক- এই প্রত্যাশা আমাদের নাট্যমোদিদের।
——-বজলুর রহমান জোয়ার্দ্দার