আসাদুজ্জামান নূর
অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠন চুয়াডাঙ্গা, তাদের জন্মের তিরিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৫-৩১ অক্টোবর ২০১৬ সপ্তাহব্যাপী এক সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করেছে জেনে আমি আনন্দিত।
সংস্কৃতি আমাদের প্রবহমান জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। মানব জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করার সকল আয়োজন সংস্কৃতির দর্পনে প্রতিফলিত হয়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে, দেশ থেকে দেশান্তরে এবং কাল থেকে কালান্তরে চলে এর অন্তহীন বিস্তার। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। এই মহান অর্জনের পটভূমি রচিত হয়েছিল এ দেশের গণমানুষের দীর্ঘ সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামের ঐক্যসূত্রে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদেরকে শোষণ নির্যাতন নিপিড়নের ঔপনিবেশিক শৃংখল থেকে মুক্তির অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন। বাঙালি জাতীয়তা, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি প্রতিষ্ঠা করে বাঙালি জাতির জীবনে সুখ সাচ্ছন্দের প্রবাহ সৃষ্টিই ছিল বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বপ্ন। ১৯৭৫ সালের পনেরই আগষ্ট স্বপরিবারে এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞের শিকারে পরিণত হওয়ায় তিনি এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি।
আজ তারই রক্ত ও আদর্শের সুযোগ্য ও সার্থক উত্তরসুরী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানান ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়ে বিপুল চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে সার্বিক উন্নয়নের এক মডেল রাষ্ট্রে পরিণত করার গৌরব তিলকে যখন অভিনন্দিত হচ্ছেন তখনই একশ্রেণীর ধর্ম বিকৃতকারী মতলববাজ গোষ্ঠি জঙ্গিবাদের ধ্বজা ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে তৎপর।
এই অবস্থায় অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠন, চুয়াডাঙ্গা অসাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদ বিরোধী চেতনা গণমানুষের মধ্যে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করায় আমি অরিন্দমকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং এ আয়োজনের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
আসাদুজ্জামান নূর
সাবেক মন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়